তিনটি কবিতা । সুনয়ন পাত্র


সুনয়ন পাত্র। বিগত কয়েকদিন ধরে মুক্তাক্ষর সাহিত্য পরিবারকে নিজের কাব্যরসে বিভোর করে রেখেছে। তার তিনটি কবিতা রইল। 


১.
প্রভেদ

সুনয়ন পাত্র 


নৌকো আঁকা চিত্ত তোমার
আমি দিক না জানা নাবিক
তুমি বৃষ্টি বহুল মেঘালয়ে 
মরুতে ঘোরা আমার বাতিক 

এখানে দীর্ঘ আঁধার পার হয়না
কালো বিষাদ বিষের জ্বালায় 
তুমি দুইশ ওয়াট হ্যালোজেনে
দুচোখ ঢাকো আলোক ধাঁধায়

আমার নিতান্তই কাটছে দিন
আমার ফাটা বাঁশের কুঁড়ে
তোমার সুখে ভেজা মুখ
তুমি দালান প্রাসাদ জুড়ে

তোমার গ্লাসে রেড ওয়াইন
আমার কেন্দু পাতার বিড়ি
তোমার অট্ট হাসা দাঁত
আমি লুকাই ফোকলা মাড়ি

লোকে তোমায় লক্ষ্মী বলে
করে যতন বরণ ভীষণ
আমি কেমন রাখাল হয়ে
পারিনা কেন হতে নারায়ণ?


২.
রজন

সুনয়ন পাত্র 


উমেদ এর খনিতে চাপা পড়া মৃত্যুর ঘ্রাণ 
কৌশলে পাশ কাটিয়ে যায় শিশির শীতল কাঠ গোলাপের 
নোঙরে বাঁধা প্রেম সুতো বড্ড অবাধ্য 
হরপ্পার ধুলোয় মিশে যায় সমস্ত অভিমান
পুড়ে যাওয়া পোকাদের গুঁড়ো উড়ে বাতাসে। 
গোলাপের গন্ধের সাথে আবারও মিশে যায় - 
পঁচে যাওয়া তুলতুলে কলিজার মাংস মাংস গন্ধ

চাঁদের গায়ে হাত বুলিয়ে ঢেকে দিই...
অস্পৃশ্যতার কলঙ্ক!
 যদিও শহর ঢেকে যায় অন্ধকারের বাতাবরণে 
উৎফুল্ল মন অমাবস্যা খোঁজে হয়রান আলোয় 
কোনো এক কোণে প্রদীপ জ্বালিয়ে দাঁড়িয়ে রয়েছ তুমি!


৩.
একটি মনগড়া লেখা

সুনয়ন পাত্র 


চিবুক চেরা চাল চুলোর চরিত্র
মৃৎ মূর্ধার মূলে মনুষ্যের মুক্তি
সৎ সুখে সূক্ষ্ম সুনীল সমুদ্র
ভূত ভয় ভান ভবিষ্যত ভক্তি

বান বলে বুক বিষে বিশ্বাস
দীন দানায় দীপ দৃষ্টি দাঁতে
শীত শানে শ্বেত শুভ্র শ্বাস
জ্বালা জ্বরে জুঁই জবায় জড়াতে 

একটি মন্তব্য পোস্ট করুন

0 মন্তব্যসমূহ