দুটি কবিতা । অশোক দাস

অশোক কুমার দাস। কবিতা ও কবিতা সম্পর্কিত শব্দ যার কাছ থেকে শেখা। যে মানুষটা আমাদের ছেলেমেয়ের আদরে দেখে। তার কাছে মুক্তাক্ষর সাহিত্য স্রোত সবসময় ঋণী। তার দুটি কবিতা রইল। 



১,
অগ্নিশুদ্ধি

অশোক কুমার দাস


এলোমেলো সময়ের পাকদন্ডে
কলম ও পড়েছে মুখোশ
যেন যুদ্ধে বিরতির আবেশে
অনেক পড়াশোনায় কাল কাটিয়ে
শেষে ছদ্মবেশ
ভুল করে আত্মবঞ্চনা না জেনে শুনে
তাও কি বলবে মুখপাত্র ?
দড়ি টানাটানি করে যেটুকু ক্ষুদকুড়া জুটছে
কেউ কেউ তাতেই সন্তুষ্টি
বেশীরভাগ ই সোনার ডিমের প্রত্যাশী
পুরানো কে ভাঙ্গতে ভাঙ্গতে
উন্নয়নের রথে আরোহণ
তাড়াহুড়োয় বন্ধন সেতু চ্ছিন্ন
চারপাশের সবাই ভালো করতে চায়
দ্বিধান্বিত মন সন্দেহে বিমুখ
কে ভালো কে মন্দ সব ই ধোঁয়াশায়
সুর্য পুবে উঠছে সময় মেনে ডুবছে
হাতের তালুতে ক্ষনিক সুখ সেও পীড়া দেয়
একসাথে রাজপথে হাঁটতে ভীড় বাড়ছে
কোলাহলে চারিপাশ বিধ্বস্ত
আকাশের কোনে ক্ষয়িষ্নু ফাঁদ পাতে
আশা আর মুখোশের যুদ্ধে দিন কাটে
অবকাশে অনুভূতি র আগুনে পুড়তে পুড়তে
কলমের মুখে বিস্ফোরন
তরল লাভায় বেড়িয়ে আসে
আসল নকলের উদ্গিরন



২,
মুখোশ নৃত্য

অশোক কুমার দাস 


যে মানুষটা কাঠের মুখোশ পরে
হাতে কাঠের তরবারি বীর বিক্রমে
সাঁই সাঁই করে ঘোরাচ্ছে
মনে হলো যথার্থ বীর ই বটে
সামনে যাবে এমন সাধ্য কারও নেই
এরই মধ্যে সাঙ্গ হল খেলা
লোকটি যখন মুখোশ খুললো
তখন বেড়িয়ে পড়লো
হাড় জিরজিরে আসল মানুষের রুপটা
খেলার পরিশ্রমে ভীষণ রকম ক্লান্ত
আরও কিছুক্ষণ পর শী্র্ন হাত বাড়িয়ে ধরলো
বাবুজনের কাছে কিছু প্রাপ্তির আশায়
ওর জঠর জ্বালার আর্তনাদ সকল বাবুদের
হৃদয়ে পৌঁছালো কিনা বোঝা গেলো না
ওর খেলার কসরৎ কারও মগজে
মুগ্ধতার ছবি আঁকেনি
অসহায় আর্তি বাতাসে অনেকক্ষণ ভেসে বেড়ায়
ভাবছি সব মুখোশের আড়ালেই হিংস্রতা থাকেনা
শুধু ক্ষিধের তাড়নায় নাচানাচি

একটি মন্তব্য পোস্ট করুন

0 মন্তব্যসমূহ