তিনটি কবিতা । অজয় মণ্ডল

অজয় মণ্ডল। একজন প্রতিভাধর শিল্পী যে কলমকে প্রতিদিন ঘষেমেজে চকচকে করছে। আর সেই ঘষামাজা বাসনপত্র নিয়ে ছবি তৈরি করছে মুক্তাক্ষর সাহিত্য পরিবার। তারই লেখা তিনটে কবিতা রইল নিচে। 


১.
শেষ পরিণতি হোক না ভালো

অজয় মণ্ডল


সংবিধান হুল ফুটিয়ে দিচ্ছে 
চিন্তিত ব্যাক্তির বুদ্ধির কারুকার্য চাকাকে।
রাজনীতি জন্ম দিচ্ছে
নতুন লোভময় অমানুষদের কে।।
ভুয়া নেতৃত্বে ধংস হচ্ছে প্রতিনিধিত্বের
আসল নেতৃত্ববিন্দের  পার্লামেন্টে।।

সংশোধনের প্রতিবিম্ব নষ্ট ....
ভাতের হাঁড়ির ছাই মেখে বসে থাকা জীবনের
মূল্যহীন এখন মূল মন্ত্র।।

সুদূর বন্ধু প্রাচীর গড়ার আগেই 
ওই তো আমি দেখতে পাচ্ছি ভূগোলের মানচিত্রে
ওপাড়ে দাঁড়িয়ে
কটুক্তি আর সিগারেট ধোঁয়ায় জীবনের বাসর সাজানো
পড়ে অস্তিত্বের কিছু আবেগি কাঠ কয়লা ছাই
কুড়িয়ে হৃদয়ে দাফন করানো।।

শেষ পরিণতি হোক না এক ফালি চাঁদ
সবার মুহুর্ত যেন ভালো কাটে।।
সেখানে রাহু কেতু হয়ে লাভটা কি বলতো।।
উওরের খাতায় তো
ষোলোআনা কাঁচ কলা 
আর পূর্ব জন্মে কিট পতঙ্গ পোকামাকড়ের 
পাপের প্রায়শ্চিত্ত।



২.
বিলুপ্ত হয়ে যেতে ইচ্ছে হয়

অজয় মণ্ডল


জীবন এক পরিযায়ী শ্রমিক
হৃদয় মরা কোটালের দগ্ধ বালুচর
অতিবেগুনি রশ্মির প্রভাব সর্বাঙ্গে
জ্বালিয়ে সড়ক পথে উদ্দেশ্য
মৃত্যু খুঁজে চলে যাচ্ছি....
সোনার অঙ্গ ঝরে ঝরে  পড়েছে
তৈরি হয়েছে মরচে পড়া লোহা।।
সংসার সংবিধানের দ্বিতীয় ভাগ
মাথা কাজ করছিল না এ‌ জ্বালা যন্ত্রনা ।।
তাই হঠাৎ আনমনে বৃষ্টির ফোঁটার মতো  
ঝরে পড়ে মাটিতে বিলুপ্ত হয়ে যেতে ইচ্ছে 
হয়েছিল বসন্তের বিকেল...



৩.
চাষীর কষ্ট

অজয় মণ্ডল


কিচিরমিচির পাখি ডাকে
শনশন হাওয়া বয়।
চারিদিক নীল সাদা
মেঘে ঢাকা আকাশ।
সূর্যের কিরনীয় রেখা আলোর
বিচ্ছুরণ ঘটিয়ে যায় এঁকে বেঁকে।
ভোরবেলায় কাখে কলসি নিয়ে
সাঁওতাল রমণী নদীতে যায় জল আনিতে।
সেই সুন্দর সকাল দিনের আলো কাটিয়ে,
রাতের কালো আঁধার ডুবে গেছে।
না - আর ক্লান্তি থেকে মুক্তি পায়,
চাষে লাগা রোদে পোড়া
অবসন্ন মানুষের শরীর।
চাষীরা ভোরের উজ্জ্বলতায়
মাঠে কাজে লেগে যায়।
আর কয়েক দিনের মধ্যে হাহাকার করে
সোনালী সবুজ ফসলের প্রাচুর্য।
কিন্তু কখনো কি ভেবে দেখেছ?
চাষীদের কষ্ট।
রাতের নির্জনতায় চাষীরা বিশ্রাম নেয়
একটু আলোর মাঝে।
কিন্তু তাদের শরীরে রোদের কলঙ্ক
ধুলো মুদ্রিত গায়ে হানা দেয়।

একটি মন্তব্য পোস্ট করুন

0 মন্তব্যসমূহ